নাস্তিক হলে লাভ কি?- মুফতী সিরাজী

তথাকথিত মানুষ দিন দিন নাস্তিক্যবাদের পিছনে দৌড়ানোর নেপথ্য কি?নাস্তিক

সাম্প্রতিক কালে মানবতার দোহাই দিয়ে শিক্ষিত শ্রেণির একদল যুবক যুবতী স্যাকুলারী পন্থা বেছে নিচ্ছে, ধর্ম থেকে বিমুখ হয়ে ভিত্তিহীন কিছু যুক্তির প্রশ্রয় নিয়ে অন্ধকার এক জগতের দিকে পা বাড়াচ্ছে। বিচিহ্ন করছে নিজ থেকে সমাজ ও ধর্ম , এমন আত্মঘাতি একটি পন্থার দিকে নিজের জীবন জলাঞ্জলী দিচ্ছে সে সকল যুবক।
পৃথিবীর সকল মানব সম্প্রদায়ের মধ্যে নিম্ন শ্রেণি থেকে শুরু করে উচ্চ বংশীয় মানুষ , গরীব দু:খি, ধনী , মধ্যবিত্ত, দূর্বল, সবল ক্ষমতাশীল সহ সকল শ্রেণির মানুষের কম বেশ ক্ষমতা ও টাকার লোভ রয়েছে যেমন, তেমনি বাড়ি-গাড়ী , মনোরম নারী এবং বিলাসী জীবনের চাহিদা জাগে অনেকের মনে ।
আর এমন আয়েশের জীবনী চাহিদা জাগবে এটা-ই স্বাভাবিক, তবে মানুষের লোভ সীমা ছাড়িয়ে যায় তখন ঘটে অঘটন। আধুনিক যুগে সারেজমিনে তথ্য যাচাই করলে যে নতিজা বেরিয়ে আসে তার অভিজ্ঞতাটা ব্যক্ত করবো।

নাস্তিক্যবাদের দিকে ধাবিত হওয়ার কয়েকটি কারণ

  1. শ্রদ্ধা-ভক্তি বিলুপ্ত মনমানুষিকথা তৈরি হওয়া।

  2. অযতা বিতর্ক করার হীন মনোভাব।

  3. পরিবার বিমুখ।

  4. সমাজের প্রতি বিদ্ধেষী মননীতি।

  5. আখেরাত ভুলে যাওয়া।

  6. প্রকৃতি পূজার সংকল্পবদ্ধতা।

  7. উন্নত বিশ্বের বিলাশিতার প্রতি আকৃষ্টতা।

  8. অবাধ যৌনতার বিকৃতি আগ্রহ।

  9. সমকামিতা।

  10. বহির বিশ্বের সুযোগ সুবিধা গ্রহণের লক্ষতা।

  11. মদমত্ত পাপিষ্ঠ।

সকল কারণগুলো অন্যতম। তার মধ্যে বাংলাদেশের সেকুলারপন্থিরা ১০ নাম্বার সুযোগের পন্থাটি বেচে নিয়েছে।

এক বাক্যে বলা যায়… মহিউদ্দিন আসিফ ও আসাদ নূর এবং মোফা-লোফাগংদের টার্গেট ছিল ভিসা পাসপোর্ট ছাড়া ইউরোপ আম্রেকার নাগরিকত্য। তাই তারা আল্লাহ, রাসূল এবং ইসলামকে নিয়ে জঘন্য মন্তব্যের নুংরা খেলায় মেতে উঠেছে। আর সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে এখন রাতারাতি প্রত্যকে ইউরোপের নাগরিকত্ব অর্জন করতে পেরেছে।

এসকল নাস্তিকদের বেশিরভাগ উচ্চ জেনারেল শিক্ষিত এবং পিতৃ পরিচয়হীন অবৈধ সন্তান। বর্তমানে দুনিয়তে স্বর্গের স্বাদ আস্বাদন করে পশ্চিমা দেশগুলোতে গড়েছে স্বপ্নের বিলাস।
ইসলাম সম্পর্কে নানা ধরণের আপত্তি থাকলে-ও এসব সমাজচ্যুত দুষ্কৃতি ব্যক্তি ইহুদী-খৃষ্টানদের অনৈতিকতার উপর কোন ধরণের আক্ষেপ করে না। কারণ তাদের ব্যাগরাউন্ড ইন্দনে জৈয়নবাদিদের সরাসরি মদদ।

সুতরাং তাদেরকে নাস্তিক না বলে “ইসলাম বিদ্ধেষী” বলা যথার্থ হবে। যারা ইহলুকে ক্ষণিকের বিলাসিতা এবং নগ্ন নারীদের সাথে খুনসুটির লিপ্সায় সমাজ, পরিবার, দেশকে পদপিষ্ট করে ও ধর্মকে কুরুচিপূর্ণ ভাষায় গালমন্দ করে নিশ্চয় তারা জাহান্নামের কীট এবং মানবজাতির ক্যান্সার।

আল্লাহ তায়ালা এসকল বিকৃত মনমানুষিকথার লোক থেকে আমাদের সমাজ ও জাতিকে হেফাজত করুন।

©® লেখক: মুফতী বোরহান উদ্দিন সিরাজী

মানবতার গ্যাঁড়াকলে পিষ্ট রোহিঙ্গা মুসলমান- মুফতী সিরাজী

বন্য হাতির মূল্য বাংলা বাজারে চড়া বটে মানুষ হয় মূল্যহীন।
————-

fb_img_1480211625006
গলাবাজ আর কলমবাজ তখনি উথলে উঠে যখন সংখ্যালঘু বা অমুসলিম কোন জনপদ নির্যাতিত হয়।
মানবতা, মানুষত্ব কালের স্রোতে হারিয়েছে বিংশশতাব্দী পূর্বকালেই। মুসলাম শাসক যখনি সাম্রাজ্যবাদ ইয়াহুদী নাসারাদের তাবেদার বনে গেল তখন থেকেই ধীরেধীরে আমাদের মগজ শাসকদের মত চাটুকারিতা স্বভাবী হয়েছে।
এই ফাঁকে নিজেদের অস্তিত্ব ভুলে বিধর্মী সংস্কৃতি আকড়ে ধরল তথাকথিত প্রগতিশীল। অনুদান পেতে ওয়াশিংটন আর দিল্লী যে স্বরে গান গাইবে ঠিক সেই স্বরে স্বর মিলাবে আমাদের কথিত শিক্ষিত সুশীল সমাজের প্রতিনিধি।
———–

fb_img_1480061095047
মার্কিন সিনেট এবং পেন্টাগন থেকে যা কিছু ইনফর্ম্যাশন দিবে তাকে পাক কালিমার মত বিশ্বাস করতে সামান্য সন্ধিহান রাখবেনা।
মিডিয়ার সামনে যে আয়নাটা ধরে আমাদের মগজ ধোলাই করছে তার পেছন থেকে কাঠি নাড়ছে ধান্ধাবাজ ইহুদিরা।
অত্যন্ত দুঃখের বিষয় যে আমারা তাদের পিছু অনুসরণ করে নিশ্চিত ভুলের কুপে পতিত হচ্ছি। এর মাশুল একদিন আমরা আনা আনা গুনতে হবে।
——
জঙ্গি বাক্য/ট্যাগটি তাদের চমৎকার হাতিয়ার এটা তো ঠিক জেন “ঘোলা জলে মৎস্য শিকার”।
আরামছে বসে মানুষ খুন করার পন্থা, আপনি একটু ছয় নয় হিসাব না করে অদূরে সিরিয়া, ইরাক আক্রান্ত হওয়ার পর গোলা-বারুদের জরিপটা দেখুন!!!
– প্রতিটি মিসাইল ও বিমান হামলার অর্থ ও ব্যবস্থাপনা আমেরিকা বা রাশিয়া দিয়ে দিচ্ছে।
মরছে হাজার হাজার নিরহ মানুষ আর বস্তুহীন শরণার্থী জীবন বাচাতে বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিয়েও ঠাই হচ্ছেনা। *এসবের পিছনে যে ট্যাগটি ব্যবহার হচ্ছে তা হল জঙ্গি নির্মূল বিশ্বশান্তি ফেরানো মিশন।
—–
সব কিছুর নেপথ্য টানলে দেখা যাবে @মুসলিমরা মুক্তিকামী ছিল আর বর্বর আমেরিকা ও ইহুদী প্রকৃত জঙ্গী@
কিন্তু আমারা তাদের তালে নাচি, তাদেরই সেবাদাস।
———
মিয়ানমার চলমান মুসলিম নিধন, নিপীড়ন , নির্যাতন নতুন কোন বিষ নয়, এই নরপিশাচ বৌদ্ধ ন্যাড়া দল আদিম যুগ থেকই বর্বরোচিত হামলা করে মুসলিমদের নিশ্চিহ্ন করতে বদ্ধপরিকর।
তাদের মুখেও একই কায়দার আওয়াজ “জঙ্গি দমন” মূলত পেন্টাগনের শিখানো বলি মাত্র। যা দিয়ে অতি সহজে রোহিঙ্গা মুসলিমদের মূলোৎপাঠিত করা যায়।
সাধারণ জ্ঞানী গুণী বিষয়টি আঁচ করলেই হিসাব মিলিয়ে নিতে পারবেন। প্রকৃত জঙ্গি বা উগ্রপন্থী মুসলিমরা নয় বরং কৌশল করে আমাদের ছাপিয়ে দিচ্ছে, উগ্রপন্থী ও সন্ত্রাসী জঙ্গিগোষ্ঠি হল মার্কিনী ও তাদের মিত্র।
মুসলিম সংগ্রামী যুদ্ধারা করে মুক্তির সংগ্রাম।

Blog at WordPress.com.

Up ↑